Thursday, January 9, 2014

Jujube Farming Business | কুল চাষে ব্যবসা | আপেল কুল চাষ

কুল চাষে ব্যবসা
কুল বরই আমাদের জীবনের সাথে মিশে আছে। কুলের চাটনি বা আচারের কথা মনে হলে কার না জিভে পানি আসে। কুল বরই-এর অনেক ধরনের ব্যবহার থাকায় এর কদর অনেক বেশি। পাকা-টাটকা অবস্হায় ও শুকনো অবস্হায় এটি খাওয়া যায়। তাছাড়াও এটি বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন সি, ভিটামিন এ-এর ভাল উৎস। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, কুল-ই আমাদের দেশের একমাত্র শীতকালীন মৌসুমী ফল। যখন অন্য কোন দেশীয় ফল বাজারে থাকে না তখন এ ফল বাজারজাত করা যায়। কাজেই কুলের গুরুত্ব ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা অনেক বেশি। বর্তমানে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে আপেলকুল এর চাষাবাদ শুরু হওয়ায়, লাভজনক এ কৃষি পণ্যটির প্রতি আমাদের দেশের অনেক কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।






Overview


(Having the texture and flavor of an apple the jujube are often referred to as manzana or manzanita meaning apple or little apple. It is an important commercial fruit crop in Thailand, Vietnam, Bangladesh and India, and it is grown on smaller scales throughout Malaysia and Australia. The trees are bush-like with a weeping habit, and they will bear fruit at just two to three years of age. Jujubes are known to be extremely prolific producers)




আপেল কুল-এর বৈশিষ্ট্য

আপেল কুল বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোফাজ্জল হোসেন কর্তৃক উদ্ভাবিত এবং জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে অনুমোদিত। আপেল এর মতো রঙ হওয়ার জন্যে কুলটির নাম দেওয়া হয়েছে আপেল কুল। মিষ্টি স্বাদের জন্য অন্য কুলের চেয়ে এটি অনেক ভালো।


বৈশিষ্ট্য

গাছের আকার: একটি পরিণত গাছ মাঝারি আকৃতির লিচু গাছের মত হতে পারে ও ৫০ বছর ধরে ফল দিতে পারে। ফলের আকার: মাঝারী আকারের বীজ: ছোট । ফলের ওজন: প্রতিটি ১৫ থকে ২০ গ্রাম ওজনের। গাছের বৃদ্ধি: দ্রুত বাড়ে-জুলাই/আগস্ট মাসে রোপণকৃত এক/দেড় ফুট উচ্চতার একটি কলমের চারা ৬ মাসে ৫ থেকে ১০ ফুট লম্বা হতে পারে। স্বাদ: খেতে কচকচে ও কষহীন ও মিষ্টি। ফলন: একটি পরিণত গাছে ১৫০ থেকে ১৮০ কেজি পর্যন্ত ফল ধরা সম্ভব। প্রতি বছর ফলন দেয়। জুলাই/আগস্ট মাসে রোপণ করলে পরবর্তী মৌসুমে অর্থাৎ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে গাছ প্রতি ১৫ কেজি পর্যন্ত ফল পাওয়া সম্ভব। বোটা: শক্ত তাই পরিপক্ক ফল সহজে গাছ থেকে ঝড়ে পড়ে না। চাষের এলাকা: বাণিজ্যিক বাগান, বাড়ির আঙিনা ও টবে চাষযোগ্য। সহনশীলতা: খরা, বন্যা ও লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। খাবারযোগ্য অংশ: ৯৩ ভাগ। বাজার মূল্য: ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। ফলটির রয়েছে বিশাল রপ্তানীর সম্ভাবনা। একর প্রতি গড় আয় বছরে নূন্যতম ৫ লক্ষ টাকা।


আপেল কুল চাষে কি লাভ?

• প্রতি বছর ফল হয়। • প্রচুর ফলন দেয় ও তাড়াতাড়ি বাড়ে। • বোটা শক্ত, তাই সহজে ঝরে পড়ে না। • বাণিজ্যিকভাবে বাগানে বা বাড়ির আঙ্গিনা ও টবে চাষ করা যায়। • খরা, বন্যা-জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। • বীজ ছোট ও শাঁসের পরিমাণ বেশি। • কলম রোপণের ৮ মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। • রোগবালাই-এর আক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম। • পুষ্টিমাণ অন্য যে কোন কূলের চেয়ে বেশি। • অন্যান্য কুলের চেয়ে বেশি মিষ্টি ও সুস্বাদু। • খেতে মচমচে ও কষহীন। অন্যান্য কুলের চেয়ে বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়।


সঠিক চাষের জন্য করণীয়

কুল চাষে ব্যবসা
• বর্ষার পানি বের হওয়ার সুবিধার্থে জমির ঢালু দিকে সমান্তরালভাবে গাছের সারি করতে হবে। • গর্ত খোড়ার সময়, উপরের অর্ধেক মাটি ও নীচের অর্ধেক মাটি আলাদা ঢিবি করে রাখতে হবে। • গর্তটি কমপক্ষে এক সপ্তাহ খোলা রাখতে হবে। • গর্তে সার প্রয়োগের সময় দুইটি ঢিবির মাটি একসাথে সমানভাবে মিশিয়ে দিতে হবে (জিপসাম সার ও অন্যান্য সার প্রয়োগের ১৫ দিন আগে মাটিতে মিশাতে পারলে ভাল)। • গর্তটি ভরাট করার দুই সপ্তাহ পর কুল গাছের কলমটি লাগাতে হবে। • গাছ রোপণের এক মাস পর গাছের চারিদিকে মাটিতে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে পানি দিতে হবে। • ছুরি দিয়ে পলিব্যাগ এমনভাবে কাটতে হবে যেন গাছের গোড়ার মূল মাটি ঝরে না যায়। • পলিব্যাগে, চারাটির যতটুকু মাটির নীচে ছিল, ঠিক ততটুকুই মাটির নীচে দিতে হবে।
• গাছ লাগানোর পর অবশ্যই বাঁশের খুটি দিয়ে সোজা করে দিতে হবে যেন একটি কান্ড সোজা উপরের দিকে উঠতে পারে।




বিশেষ সতর্কতা:

কোন অবস্হাতেই কলম করা অংশের নীচে কোন ডগা বা কুশি বাড়তে দেওয়া যাবে না, কেননা ঐ গুলি পরবর্তীতে প্রচন্ড শক্তিতে বেড়ে কলম করা অংশটির মৃত্যু ঘটায়। আর একটি ব্যাপার হলো, অনেকসময় কুলের চারার কলম করা অংশে প্লাস্টিকের ফিতা জড়ানো দেখতে পাওয়া যায়। নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহের ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মাথায় অবশ্যই ধারালো ব্লেড দিয়ে ঐ টেপ বা ফিতা কেটে দিতে হবে। তা না হলে বাড়ন্ত গাছ ঐ ফিতার চাপে কেটে গিয়ে মারা যাবে।


রোপণ পদ্ধতি


গাছ থেকে গাছের দূরত্ব
১২×১২ ফুট
গর্তের আকার
দৈর্ঘ্য ৩ ফুট,  প্রস্হ ৩ ফুট, গভীরতা ৩ ফুট
গর্ত প্রতি সার
১০০ গ্রাম পটাশ, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৫০০ গ্রাম জিপসাম ও ২০ কেজি গোবর।
লাগানোর সময়
জুন-জুলাই-আগস্ট


ফসল সংগ্রহ

যখন ফলের সবুজ রং থাকবে না এবং ফলটি হালকা হলুদ রং ধারণ করে।


ফলন

সাধারণত: একটি পূর্ণবয়স্ক আপেল কুল গাছ থেকে বছরে ৮০ কেজি ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রথম বছরে কম ফল ধরবে। তারপর প্রতিবছরই ফলের পরিমাণ বাড়বে। প্রথম বছরে গাছপ্রতি ৫ থেকে ৭ কেজি, দ্বিতীয় বছরে ১০ থেকে ১৫ কেজি, তৃতীয় বছরে ৩০ থেকে ৬০ কেজি ফলন দিবে। ফলের ওজন প্রতিটি ১৫ থকে ২০ গ্রাম ওজনের।


খাবারযোগ্য অংশ ৯৩ ভাগ।

বাজার মূল্য
৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। একর প্রতি গড় আয় বছরে নূন্যতম ৫ লক্ষ টাকা।


সুত্র ও আরো তথ্য জানতে :





1 comment:

  1. Jujube Farming Business, আপেল কুল চাষ, কুল চাষে ব্যবসা

    ReplyDelete

Please don't spam. Spam comments are not approved