পেঁপে বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান ফল, যা সবজি হিসেবেও খাওয়া যায় এবং
সারা বছরই পাওয়া যায়। পেঁপের পুষ্টিমাণ অনেক হওয়ায় মানব দেহের রোগ
প্রতিরোধে এটি ভালো ভমিকা রাখে। কথায় আছে ‘দৈনিক একটি করে পেঁপে খাও,
ডাক্তার বৈদ্য দূরে তাড়াও’। পেঁপে গাছের পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে
থাকে। পুরুষ ফুলের বোঁটা লম্বা এবং ঝুলে থাকে এবং স্ত্রী ফুল বোঁটাহীন হয়।
দেশের বিভিন্ন স্হানে পেঁপে ব্যবসায়িকভাবে চাষ হয়ে থাকে। বর্তমানে ৫৪২০
একর জমিতে ১২৩৭০ মেট্রিকটন পেঁপের চাষ করা হয়। পেঁপের ইংরেজি নাম Papaya
এবং বৈজ্ঞানিক নাম Carica Papaya.
জাত ও বৈশিষ্ট্যঃ
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইস্টিটিউট ১৯৯২ সালে উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন উচ্চ ফলনশীল একটি পেঁপের জাত আবিষ্কার করেছে। এ জাতটির নাম “শাহী” যা “বারি পেঁপে-১” নামেও পরিচিত।
আকার: শাহী পেঁপে ১.৬ থেকে ২.০ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট বহুবর্ষী (বহু বছর
বাঁচে যে গাছ) গাছ। কান্ডের খুব নীচু থেকে ফল ধরে। ফল আকৃতি ডিমের মতো ।
ওজন: ৮৫০ থেকে ১০০০ গ্রাম। শাসের রং: গাঢ় কমলা এবং পুরুত্ব ১ ইঞ্চি
(প্রায় ২ সেমি)।
বীজের সংখ্যা: ফল প্রতি বীজের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৫৫০ টি।
ফলের সংখ্যা: গাছ প্রতি ফলের সংখ্যা ৪০ থেকে ৬০টি। ফলের টিএসএস ১২%। ফলন: ১ হেক্টর জমি থেকে ৫০ টন পর্যন্ত পেঁপে পাওয়া যায়।
এছাড়া ওয়াশিংটন, হানিডিউ, রাঁচি, ইত্যাদি জাতের চাষ হয়ে থাকে। পুষাজায়েন্ট, পুষা ম্যাজেষ্টি, সলো ইত্যাদি জাতগুলো উল্লেখযোগ্য।
বীজের সংখ্যা: ফল প্রতি বীজের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৫৫০ টি।
ফলের সংখ্যা: গাছ প্রতি ফলের সংখ্যা ৪০ থেকে ৬০টি। ফলের টিএসএস ১২%। ফলন: ১ হেক্টর জমি থেকে ৫০ টন পর্যন্ত পেঁপে পাওয়া যায়।
এছাড়া ওয়াশিংটন, হানিডিউ, রাঁচি, ইত্যাদি জাতের চাষ হয়ে থাকে। পুষাজায়েন্ট, পুষা ম্যাজেষ্টি, সলো ইত্যাদি জাতগুলো উল্লেখযোগ্য।
পেঁপে চাষে কি লাভ?
স্বল্প সময়ে ফল পাওয়া যায়; • বেশি লাভজনক: • পুষ্টিগুণ খুব বেশি: • খরচ খুব
কম, এক বিঘাতে (৩৩ শতাংশ) মাত্র ৬০০০ টাকা খরচ হয়: • পেঁপের সাথে
পেঁয়াজ, মরিচ, পুইশাঁক ও লালশাক করা যায়; • কাঁচা অবস্হায় তরকারী এবং
পাকা অবস্হায় ফল হিসাবে খাওয়া যায়।
স্হান নির্বাচন/চাষের জন্য পরিবেশ ও মাটি/জমি তৈরি
স্হান নির্বাচন পানি দাঁড়াতে পারেনা এমন উর্বর জমি পেঁপের জন্য নির্বাচন
করতে হয়। সাধারণত: উঁচু ও মাঝারী উঁচু জমি পেঁপে চাষের জন্য ভাল।
ফসল সংগ্রহ/ফলন/ফলের যত্ন/মোড়কীকরণ/ফসল সংগ্রহের পর করণীয়
ফসল সংগ্রহ ফল ধরার দু’মাস পরেই সবজি হিসেবে এগুলো বাজারজাতকরণের জন্য
সংগ্রহ করা যেতে পারে। পাকা খাওয়ার জন্য যখনই পেঁপের গায়ে একটু হলুদ রং
দেখা দেয় তখনই সংগ্রহ করা উচিত। গাছের সব পেঁপে একসাথে সংগ্রহ করা যায়
না। যখন যে ফলের রং হলুদ হবে তখনই সেটি সংগ্রহ করতে হয়। এ অবস্হায় সংগ্রহ
করলে পেঁপে সম্পূর্ণ পাকতে ৩ থেকে ৪ দিন সময় নিয়ে থাকে। সংগ্রহের পর
ফলগুলো এক সারিতে খড়ের ওপর রেখে খড় দিয়ে ঢেকে রাখলে সমানভাবে পাকে। ফল
ধরার ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহের উপযুক্ত হয়ে থাকে।
ফলন পেঁপের ফলন গাছ প্রতি ৩০ থেকে ৬০ কেজি ।
ফলের যত্ন: পেঁপে গাছের প্রতি পর্বে ফল আসে। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিপর্বে
একটির পরিবর্তে এক সাথে বেশ ক’টি ফল আসে এবং এগুলো সঠিকভাবে বাড়তে পারে
না। এসব ক্ষেত্রে ছোট অবস্হাতেই প্রতিপর্বে দু’একটি ফল রেখে বাকি সব ফল
ভেঁঙ্গে ফেলতে হয়।
মোড়কীকরণ: ঝাকিতে খড় বিছিয়ে ১ ইঞ্চি পরিমাণ উঁচু করে পেঁপে পেপার দিয়ে মুড়িয়ে সারি সারি করে বিছিয়ে রেখে বাজারজাত করা যায়।
ফসল সংগ্রহের পর করণীয়: • ফসল তোলার পর পেঁপে মাটিতে রাখা যাবে না; •
ঝাকি কিংবা পেঁপে গাছের পাতা ছিঁড়ে তার উপর রাখতে হবে। এটা হলো পাকা
পেঁপের ক্ষেত্রে, কাঁচার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।
সংরক্ষণ পদ্ধতি/বংশ বিস্তার/বিকল্প ব্যবহার/অধিক ফলনের জন্য পরামর্শ
সংরক্ষণ পদ্ধতি: • চটের ছালা মাটিতে বিছিয়ে ২ থেকে ৩ দিন পাকা পেঁপে রাখা যাবে; • কাঁচা পেঁপে ৩ দিন পর্যন্ত রাখা যায়; • পানিতে ভিজিয়ে কাঁচা পেঁপে ৪ থেকে ৫ দিন রাখা যায়।
অধিক ফলনের জন্য পরামর্শ: • নিয়মিত সার দিতে হবে। • ভাল চারা রোপণ করতে হবে। • ভিটামিন জাতীয় ঔষধ দিতে হবে।
সংরক্ষণ পদ্ধতি: • চটের ছালা মাটিতে বিছিয়ে ২ থেকে ৩ দিন পাকা পেঁপে রাখা যাবে; • কাঁচা পেঁপে ৩ দিন পর্যন্ত রাখা যায়; • পানিতে ভিজিয়ে কাঁচা পেঁপে ৪ থেকে ৫ দিন রাখা যায়।
অধিক ফলনের জন্য পরামর্শ: • নিয়মিত সার দিতে হবে। • ভাল চারা রোপণ করতে হবে। • ভিটামিন জাতীয় ঔষধ দিতে হবে।
আরো বিস্তারিত তথ্যঃ
তথ্যসূত্রঃ
১। পেপে চাষে ব্যবসা | পেপে বাগান | Papaya Farming Business
২। পেঁপের উন্নত জাত ও উৎপাদন কলাকৌশল, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর, গাজীপুর।
৩। উচ্চমূল্য ফসলের উৎপাদন প্রযুক্তি (প্রশিক্ষণ মডিউল-২), ফল ও মসলা জাতীয় ফসল, নর্থওয়েষ্ট ক্রপ ডাইভারসিফিকেশন প্রজেক্ট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫।
৪। কলা এবং পেঁপের প্রধান রোগসমূহ এবং তাদের দমন ব্যবস্হাপনা, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০১ ।
৫। পেঁপে চাষ’, কৃষি তথ্য সার্ভিস শক্তিশালীকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫।
২। পেঁপের উন্নত জাত ও উৎপাদন কলাকৌশল, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর, গাজীপুর।
৩। উচ্চমূল্য ফসলের উৎপাদন প্রযুক্তি (প্রশিক্ষণ মডিউল-২), ফল ও মসলা জাতীয় ফসল, নর্থওয়েষ্ট ক্রপ ডাইভারসিফিকেশন প্রজেক্ট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫।
৪। কলা এবং পেঁপের প্রধান রোগসমূহ এবং তাদের দমন ব্যবস্হাপনা, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০১ ।
৫। পেঁপে চাষ’, কৃষি তথ্য সার্ভিস শক্তিশালীকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫।
Papaya Farming Business, পেপে চাষে ব্যবসা, পেপে বাগান
ReplyDelete